ফিক্সিংয়ে আরেক ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম

একটা সময় ছিল যখন এ দেশের সিংহভাগ মানুষ ফিক্সিং, ম্যাচ পাতানো, ম্যাচ গড়াপেটা কিংবা জুয়াড়ি-এসব শব্দ শুনলে মানে-টা বুঝত না। বুঝত না এসবের অর্থও। কিন্তু ধীরে ধীরে এখন লাল সবুজের দেশটিও চিনেছে, জেনেছে, বুঝেছে কিভাবে কি করলে কী হয়।

ক’দিন আগে এক জুয়াড়ির থেকে পাওয়া ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন রাখায় বাংলাদেশ তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম তারকা সাকিব আল হাসান সব ধরণের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নির্বাসিত হন।

তার আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সংশিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় লম্বা একটা সময় ক্রিকেটে বাহিরে কাটাতে হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে। মোটা দাগে এই দুটি ঘটনার প্রভাবে বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশের আপামর ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে রক্তক্ষণ হয়। তবু আইনের চোখে যখন অপরাধ তখন তো দিন শেষে ‘না’ বলারও উপায় নেই।

কিন্তু কেউ কি এই ফিক্সিং অধ্যায়ের ইতিহাসটা ঘেঁটে দেখেছেন, কেউ কি কখনো হিসেব কষেছেন এই কালো অধ্যায়ে কাদের যাতায়াত বেশি। কারা এই পাঠ ভালো করে জানে। আর কারাই বা এই ফিক্সিংয়ের মতো ঘৃনিত কাজে বেশি জড়িয়েছেন। আজ থেকে হয়তো আপনি একদমে বলতে পারবেন ভারতের নামটা!

হ্যাঁ, অদ্যাবধি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ গড়াপেটা করেছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিক অঙন থেকে ঘরোয়া-এই দুই ঘর মিলিয়ে এখন পযর্ন্ত সর্বোচ্চ ১৫জন ভারতীয় ক্রিকেটোরের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর ছোট-বড় বিভিন্ন ধরণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে আইসিসি। যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিও পেয়েছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে আরেক নাম-অভিমন্যু মিঠুন।

ভারতীয় পেসার মিঠুনের বিরুদ্ধে কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে। এরইমধ্যে তদন্তের জন্য তার ডাক পড়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন বলছে, জাতীয় দলের খেলা প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে মিঠুন এই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন।

কেপিএলে লায়ন্সের অধিনায়ক মিঠুন। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্দীপ পাটিল জানিয়েছেন, সিসিবি’র (সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ) জেরা জন্য আমরা মিঠুনকে ডেকে পাঠিয়েছি। জাতীয় দলের জার্সিতে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা অভিমন্যু মিঠুনকে ডেকে পাঠানোর পরেই বিসিসিআইকে এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

কেপিএলে অভিমন্যু মিঠুন প্রথমে খেলেছিলেন মালনাদ গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে। তারপরে বিজপুর বিলস। এবং সেখান থেকে গত মরশুমে তিনি শিবমোগ্গা লায়ন্সের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন। কেপিএল গড়াপেটায় তদন্ত জুলাই মাসে শুরু হওয়ার পর থেকে সিসিবি এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন